সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিলের টেক্সটাইল বিভাগ বন্ধের নোটিশ রাস্তা অবরোধ শ্রমিকদের। মঙ্গলবার শ্রম দপ্তরে বৈঠকে আলোচনার আশ্বাস প্রশাসনের। উঠে যায় অবরোধ।
আজ সকাল ছটা থেকে ইন্ডিয়া জুটমিলের টেক্সটাইল বিভাগ বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়।নোটিশে বলা হয় করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারনে উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রিতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে বহু টাকার সিন্থেটিক সুতো জমে গেছে। তাই আপাতত ১৫ দিনের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখা হচ্ছে।করোনার জন্য এমনিতেই ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে কাজ করতে বলেছে সরকার। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কাজ হারিয়েছে প্রায় পাঁচশ শ্রমিক। সকালে কাজে যোগ দিতে এসে নোটিশ দেখে ক্ষোভে ফেটে পরে শ্রমিকরা।মিলের সামনে ধর্মতলায় রাস্তা অবরোধ শুরু করে। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে আগামী মঙ্গলবার শ্রীরামপুর শ্রম দপ্তরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়ে দিশাহারা শ্রমিকরা। ইন্ডিয়া জুটমিলের পার্সোনাল ম্যানেজার দারকানাথ চৌধুরী জানান,মিলে ১৫ কোটি টাকার সুতো জমে গেছে। করোনার জন্য ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উৎপাদন বন্ধ রাখা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই আপাতত পনের দিনের জন্য টেক্সটাইল বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাল বিক্রি হয়ে গেলে আবার উৎপাদন চালু হবে। হুগলী জেলা আই এন টি টি ইউ সি'র কার্যকরী সভাপতি সন্তোষ সিং বলেন,কোন সাসপেনশানের নোটিশ না হঠাৎ করে কাজ বন্ধের নোটিশ দিয়ে দিলো মিল কর্তৃপক্ষ। অথচ লরি লরি মাল বেরিয়ে যাচ্ছে মিল থেকে। এই করোনা মহামারিতে মানুষ মরছে মিল শ্রমিকদের না খেতে পেয়ে মরার রাস্তা করছে জুটমিল কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করি। ভোট মিটতেই তৃনমূলকে বদনাম করতে রাজনৈতিক উদ্যেশ্য নিয়ে এই বন্ধ করা হয়েছে। আমরা সরকারী হস্তক্ষেপ চেয়েছি। বিজেপি নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন,এটা তৃনমূলই বন্ধ করিয়েছে। মিল মালিকের সঙ্গে তৃনমূলের আঁতাত রয়েছে। নবান্নে বসে মিটিং হয়।করোনা পরিস্থিতিতে এতগুলো লোক কাজ হারালো তাদের পরিবার গুলোর কি হবে। দ্রুত মিল খোলার ব্যবস্থা করা হোক।