কারখানা বন্ধের নোটিশে রাস্তায় অবরোধ শ্রমিকদের , আলোচনার আশ্বাস

8th May 2021 4:34 pm হুগলী
কারখানা বন্ধের নোটিশে রাস্তায় অবরোধ শ্রমিকদের , আলোচনার আশ্বাস


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিলের টেক্সটাইল বিভাগ বন্ধের নোটিশ রাস্তা অবরোধ শ্রমিকদের। মঙ্গলবার শ্রম দপ্তরে বৈঠকে আলোচনার আশ্বাস প্রশাসনের। উঠে যায় অবরোধ। 
আজ সকাল ছটা থেকে ইন্ডিয়া জুটমিলের টেক্সটাইল বিভাগ বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়।নোটিশে বলা হয় করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারনে উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রিতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে বহু টাকার সিন্থেটিক সুতো জমে গেছে। তাই আপাতত ১৫ দিনের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখা হচ্ছে।করোনার জন্য এমনিতেই ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে কাজ করতে বলেছে সরকার। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কাজ হারিয়েছে প্রায় পাঁচশ শ্রমিক। সকালে কাজে যোগ দিতে এসে নোটিশ দেখে ক্ষোভে ফেটে পরে শ্রমিকরা।মিলের সামনে ধর্মতলায় রাস্তা অবরোধ শুরু করে। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে আগামী মঙ্গলবার শ্রীরামপুর শ্রম দপ্তরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়ে দিশাহারা শ্রমিকরা। ইন্ডিয়া জুটমিলের পার্সোনাল ম্যানেজার দারকানাথ চৌধুরী জানান,মিলে ১৫ কোটি টাকার সুতো জমে গেছে। করোনার জন্য ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উৎপাদন বন্ধ রাখা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই আপাতত পনের দিনের জন্য টেক্সটাইল বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাল বিক্রি হয়ে গেলে আবার উৎপাদন চালু হবে। হুগলী জেলা আই এন টি টি ইউ সি'র কার্যকরী সভাপতি সন্তোষ সিং বলেন,কোন সাসপেনশানের নোটিশ না হঠাৎ করে কাজ বন্ধের নোটিশ দিয়ে দিলো মিল কর্তৃপক্ষ। অথচ লরি লরি মাল বেরিয়ে যাচ্ছে মিল থেকে। এই করোনা মহামারিতে মানুষ মরছে মিল শ্রমিকদের না খেতে পেয়ে মরার রাস্তা করছে জুটমিল কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করি। ভোট মিটতেই তৃনমূলকে বদনাম করতে রাজনৈতিক উদ্যেশ্য নিয়ে এই বন্ধ করা হয়েছে। আমরা সরকারী হস্তক্ষেপ চেয়েছি। বিজেপি নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন,এটা তৃনমূলই বন্ধ করিয়েছে। মিল মালিকের সঙ্গে তৃনমূলের আঁতাত রয়েছে। নবান্নে বসে মিটিং হয়।করোনা পরিস্থিতিতে এতগুলো লোক কাজ হারালো তাদের পরিবার গুলোর কি হবে। দ্রুত মিল খোলার ব্যবস্থা করা হোক।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।